Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি আবহাওয়া প্রকল্প : সফলতা পাচ্ছেন কৃষকেরা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি আবহাওয়া
প্রকল্প : সফলতা পাচ্ছেন কৃষকেরা
ড. মোঃ শাহ কামাল খান
জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে। কাজেই নির্ভরযোগ্য কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের মাঝে সময়মতো পৌঁছে দেওয়া কৃষি প্রধান বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে প্রতিকূল আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যেমন ফসল রক্ষা করা যাবে তেমন অনুকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যাবে। সে কারণেই বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর “কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আবহাওয়া এবং নদ নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উন্নত মানের এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানো এবং এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে ডিএইর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে দুর্যোগকালীন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আবহাওয়া ও জলবায়ু, নদ-নদীর পানির অবস্থা, কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের  মাঝে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প টেকসই কৃষি উৎপাদনের জন্য কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের কাছে তাদের উপযোগী ভাষায় সরবরাহ করে যাচ্ছে, যা কৃষি উৎপাদনে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। প্রাপ্ত তথ্য ও কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ কাজে লাগিয়ে কৃষকগণ প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়ায় করণীয় বিষয়ক তথ্যসমূহ সদ্ব্যবহার করে মাঠের ফসল রক্ষা, অর্থের সাশ্রয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারেন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় বামিস পোর্টাল  স্থাপিত হয়েছে। এটি একটি ডায়নামিক ওয়েব পোর্টালু যেখানে কৃষি আবহাওয়া পরামর্শসহ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত নদ নদীর  তথ্য উপাত্ত সন্নিবেশিত হয়। এই পোর্টাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সংযুক্ত।
প্রকল্পের আওতায় নিয়মিত সপ্তাহে দুইদিন ৬৪ জেলার জন্য এবং একদিন জাতীয় পর্যায়ে কৃষি আবহাওয়া বুলেটিন তৈরি ও সরবরাহ করা হয়। এ পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে চারশতাধিক এবং জাতীয় পর্যায়ে দুইশতাধিক বুলেটিন প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঘূর্ণিঝড় ফণী, বুলবুল, বন্যা ও আকস্মিক বন্যা, আম্পানসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ) এর আগে ও পরে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বিশেষ কৃষি আবহাওয়া বুলেটিন প্রদান করা হয়েছে। কৃষি আবহাওয়া বুলেটিন বামিস পোর্টালে নিয়মিত আপলোড করা হয় এবং বামিস পোর্টালের মাধ্যমে এই সেবা সবার জন্য উন্মুক্ত।
নির্ভরযোগ্য কৃষি আবহাওয়া এবং জলবায়ু বিষয়ক ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত কৃষকের উপযোগী করে প্রস্তুত করে তা বিভিন্ন সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে এ প্রকল্প। কৃষি আবহাওয়া বার্তা বিভিন্ন সম্প্রসারণ মাধ্যমে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য ও কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ কাজে লাগিয়ে কৃষকগণ প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়ায় করণীয় বিষয়ক তথ্যসমূহ সদ্ব্যবহার করে মাঠের ফসল রক্ষা, অর্থের সাশ্রয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারেন।
উদাহরণসরূপ, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরের কৃষক জানান, “আমি মোঃ সোহরাব হোসনে হেমায়েতপুর, সাভার এর একজন সবজি উৎপাদনকারী কৃষক। বিগত ২০ বছর যাবৎ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করে আসছি। আগে প্রাকৃতিক  দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর ফসল নষ্ট হয়ে যেতো। বর্তমানে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ পেয়ে  আবহাওয়া ও জলবায়ুর অনুকূল অবস্থাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ মোকাবিলা করতে পারছি। গত বছর বামসি মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে পূর্বাভাস পেয়ে অনাকাক্সক্ষাতি বৃষ্টিপাত ও হঠাৎ বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছি। বৃষ্টিপাতের আগাম তথ্য কাজে লাগিয়ে প্রায় ২,০০,০০০ টাকার ফসল রক্ষা করতে পেরেছি। সেচ খরচ বেঁচেছে প্রায় ১০,০০০ টাকার মতো। ফলে প্রচুর লাভবান হয়েছি। এ সফলতার মাধ্যমে বাণিজ্যিকি কৃষির দিকে ঝুঁকিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক মোঃ আবু হানিফ মোড়ল বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে আমি বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করছি। আগে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির কারনে প্রায়ই আমার সবজি নষ্ট হয়ে যেত। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নকরণ প্রকল্পের আওতায় এক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে এবং বামিস পোর্টাল দেখে আবহাওয়া পরিস্থিতি জেনে ফুলকপি, অফসিজন সিম, বেগুন, লালশাক ইত্যাদি চাষাবাদ, আন্তঃপরিচর্যা, কর্তন করি। আমি একদিন জমিতে সেচ দিতে গিয়ে আবহাওয়া পূর্বাভাস পেয়ে আর সেচ দিইনি, এতে আমার সেচ খরচ বেঁচে যায়।
অনুরূপভাবে শেখ মনজুর রহমান খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের একজন কৃষক। প্রায় ১২ বছর ধরে ধান বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত আছেন। বামিস পোর্টাল থেকে গত বোরো মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় অশনি এর গতিবিধি খেয়াল করে এবং এলাকাবাসী সময়মতো সমস্ত বোরো ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়। চলমান মৌসুমে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জেনে আমন ধানের বীজতলা করায় জুলাই-আগস্ট মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম হলেও আমনের বীজতলার মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়। এজন্য কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নকরণ প্রকল্পকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।”    
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা গ্রামের মো: জাব্বির হোসেন কৃষক এবং কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি জানান সেপ্টেম্বর/২০২২ আগাম বৃষ্টিপাতের তথ্য জানার কারণে তরমুজের জমিতে বৃষ্টি শুরুর আগেই নিষ্কাশন নালা তৈরি করি এবং  পুরনো ড্রেন সংস্কার করি। আমার ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৭০০টি তরমুজ গাছ রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে তরমুজের গোড়া পচাসহ অন্যান্য রোগবালাইয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। এবং ঐ সময়ে বালাইনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কারণেও আমার আর্থিক ক্ষতি কম হয়। আবহাওয়ার আগাম বার্তা কৃষি কাজে সঠিকভাবে ব্যবহারের কারণে আমি প্রায় =১৪,৫০০/- (চৌদ্দ হাজার পাঁচশত টাকা) ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।”
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার দঃ সখিপুর গ্রামের একজন কৃষক মোঃ আব্দুর রকিব বলেন, “কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প থেকে প্রদত্ত ডিসপ্লে বোর্ডে যে কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয় তিনি তা নিয়মিত দেখেন। গত ০৫/১২/২০২১ তারিখে ডিসপ্লে বোর্ড এ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখে তিনি ৬৬ শতক সরিষার জমিতে পানি অপসারণের জন্য নালা তৈরি করেছিলেন। এর ফলে তিনি সম্ভাব্য ২৫,০০০/- টাকা ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।” এভাবে অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে আগাম তথ্য/পূর্বাভাস পেয়ে দেশের অনেক কৃষক আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং লাভবান হয়েছেন।
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পটি আইসিটি এবং ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার নির্ভর। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, স্মার্ট এবং যুগোপযোগী একটি প্রকল্প। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক একটি প্রকল্প। কৃষি আবহাওয়ার মত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা/পরামর্শ তৈরিপূর্বক বিভিন্ন সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকের কাছে সফলতার সাথে যথাসময়ে পৌছে দিচ্ছে এ প্রকল্প। প্রকল্পটির অধীনে বিদ্যমান অপারেশনাল কৃষি আবহাওয়া অ্যাডভাইসরি সার্ভিসেস গ্রহণযোগ্যতা এবং অগ্রগতি বিবেচনা করে কিছু নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুষ্ঠ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি আবহাওয়া পরিষেবাগুলোকে আরও শক্তিশালী ও জোরদার করা হচ্ছে। দেশে কৃষিবিদ এবং আবহাওয়াবিদ রয়েছে কিন্তু  কৃষি-আবহাওয়াবিদ নেই। কৃষি আবহাওয়া প্রযুক্তির উপর মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দেশে কৃষি আবহাওয়া শিক্ষাকে আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশে চরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন পুরো কৃষিক্ষেত্রে অত্যন্ত বিরূপ প্রভাবিত করছে। কৃষি আবহাওয়া কৌশলগুলো এবং ধারণাগুলোর ব্যাপক ব্যবহার এবং প্রয়োগের প্রচারের জন্য, শিক্ষার পরিমিত স্তর (মডেস্ট লেভেল) প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য কৃষি আবহাওয়া ডিগ্রী অফার করা হয় না। কৃষি-আবহাওয়াবিদ তৈরি ও এক্ষেত্রে তাদের অবদান নিশ্চিত করার লক্ষে এবং বাংলাদেশের চলমান কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ সেবাকে আরও জোরদার করার জন্যে এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরইউ)-এ কৃষি আবহাওয়া বিভাগ চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে কৃষি আবহাওয়া বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (পিজিডি) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে যা দেশের কৃষি আবহাওয়া ক্ষেত্রের জন্য এক যুগান্তকারী অর্জন। প্রকল্প থেকে উল্লেখিত দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, গ্রীন হাউজ ও অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন স্থাপন এবং দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ তৈরী ও বিস্তারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা এবং কৃষকদের দক্ষতা ও সচেতনতা আরও বাড়াতে পারলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ কাজে লাগিয়ে দেশের কৃষি ও কৃষকের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে।

লেখক : প্রকল্প পরিচালক, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১২১৮৪২৭৪, ই-মেইল: kamalmoa@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon